যৌন দুর্বলতা

পুরুষের যৌন দুর্বলতা, আপনি যখন গরম, তখন গরম। কিন্তু আপনি যখন উত্তেজনার চূড়ান্তে উঠতে পারেন না, সমস্যা শুরু হয় তখনই। পুরুষের প্রধান যৌন সমস্যা পুরুষত্বহীনতার ব্যাপারে আলোচনাগুলো লক্ষ্য করুন। সম্প্রতি নিউজউইক পত্রিকায় একটি রিপোর্ট উল্লেখিত হয়েছে যে, আমেরিকার ৩৫ থেকে ৪০ বছর বয়সী অধিকাংশ পুরুষই পুরুষত্বহীনতায় ভুগছেন। পুরুষত্বহীনতা পুরুষের জীবনের প্রধান যৌন সমস্যা। নারীদের এই জাতীয় সমস্যায় ভুগতে হয় না। পুরুষত্বহীনতার নানাবিধ মনোদৈহিক এবং শারীরিক কারণ সম্পর্কে আমরা জেনেছি। কিন্তু এটি সত্য যে কারণ জানা থাকলেও অধিকাংশ সময়েই পুরুষত্বহীনতার সমস্যা দুঃসাধ্য হয়ে ওঠে। পুরুষত্বহীনতা হলো প্রধান লিঙ্গের উত্থানজনিত সমস্যা। পুরুষের লিঙ্গ হলো তার যৌন উদ্দীপনার এবং যৌন আনন্দ পাওয়ার একমাত্র শারীরিক অঙ্গ। পুরুষের লিঙ্গ যদি যৌনমিলনের সময় সঠিকভাবে উত্তেজিত হয়ে না ওঠে তবে নারীর যোনির ভেতরে এটি কোনো প্রকার সপর্শ আনন্দের সৃষ্টি করতে পারে না এবং তার ফলে পুরুষত্বহীনতার সৃষ্টি হয়। আমাদের সমাজে কোন জাতীয় পুরুষ পুরুষত্বহীন হবে তা নির্দিষ্ট করে বলা কঠিন। দেখা যায় যে, নিম্ন আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপট বা উচ্চ আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটের যে কোনো পুরুষ পুরুষত্বহীনতায় ভুগতে পারে। যৌনতার ব্যাপারে পুরুষের এই অসমর্থতা মনোদৈহিক নানা সমস্যারও সৃষ্টি করে। কাজেই এ ব্যাপারে চিকিৎসা গ্রহণের প্রয়োজন রয়েছে। আবার পুরুষত্বহীনতা সংক্রান্ত কিছু মিথ্যা ধারণাও অনেকে পোষণ করে থাকেন। পুরুষ নিজেও জানে না অনেক ব্যাপারে তার ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে। বিশেষ করে পুরুষত্ব বিষয়ে পুরুষের নানা প্রকার ভ্রান্ত ধারণা কাজ করে। পুরুষের জীবনে যৌনতার ব্যাপারটি রীতিমতো ভাবনার বিষয় হয়ে দাঁড়ায় যদি পুরুষ তার পুরুষত্ব হারিয়ে ফেলে। আবার অনেক পুরুষ এও জানে না যে পুরুষত্ব কিভাবে কমে যেতে পারে অথবা একজন পুরুষ কিভাবে পুরুষত্বহীনতায় ভোগে। নানাবিধ ভ্রান্ত ধারণা পুরুষের ভেতর এই ব্যাপারে লক্ষণীয় হয়। আমরা পুরুষত্বের ধারণা সম্পর্কিত মিথ্যা এবং সত্য বিষয়গুলো এখানে উল্লেখ করলাম। পুরুষ পাঠকদের পুরুষত্বের ব্যাপারে নানা প্রশ্নের উত্তর হয়তো এতে খুঁজে পাওয়া যাবে।

ভ্রান্ত ধারণা- খুব বেশি সংখ্যক পুরুষ পুরুষত্বহীনতায় ভোগে না।
সত্য ধারণা- এটি একটি ভ্রান্ত ধারণা। প্রায় ২০ মিলিয়ন আমেরিকান প্রতি বছর পুরুষত্বহীনতায় ভোগে। প্রতি ১০ জনের ভেতর ২ জনের পুরুষত্বহীনতা সমস্যা থেকে থাকে।

ভ্রান্ত ধারণা- পুরুষত্বহীনতায় আক্রান্ত হলে কিছু করার থাকে না।
সত্য ধারণা- ডাক্তারের পরামর্শ মতো পুরুষত্বহীনতার চিকিৎসা হতে পারে। কারণ এটি এমন কোনো রোগ নয় যে, এর চিকিৎসা হওয়ার নয়।

ভ্রান্ত ধারণা- এটি একটি মনোরোগ।
সত্য ধারণা- আসলে শতকরা ৯০ ভাগ ক্ষেত্রে পুরুষত্বহীনতার কারণ হলো শারীরিক আবার অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, বিভিন্ন প্রকার ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবেও পুরুষত্বহীনতা হতে পারে।

ভ্রান্ত ধারণা- শতকরা ৫০ জন এই রোগের চিকিৎসা গ্রহণ করেন।
সত্য ধারণা- এই ক্ষেত্রে বাস্তবতা হলো শতকরা ১০ জন এই রোগের চিকিৎসা গ্রহণ করে থাকেন। অনেকে ডাক্তারের কাছে এ রোগের ব্যাপারে বলতে লজ্জা পান।

ভ্রান্ত ধারণা- বয়স হলে এই রোগ হতেই পারে।
সত্য ধারণা- এমন কোনো কথা নেই যে, বয়স হলেই এই রোগ হবে। এটি সত্য একটি নির্দিষ্ট বয়সের পরে পুরুষ যৌনতার ব্যাপারে আগ্রহ হারায়। তবে সে ক্ষেত্রে এটিকে পুরুষের পুরুষত্বহীনতা বলা যাবে না।

ভ্রান্ত ধারণা- এই রোগের চিকিৎসা ব্যয়বহুল।
সত্য ধারণা- এটি নির্ভর করে সমস্যার তীব্রতার ওপর। কোনো কোনো ক্ষেত্রে পুরুষের যদি অন্যান্য শারীরিক কোনো অসুখ থেকে থাকে তবে পুরুষত্বহীনতার চিকিৎসার পাশাপাশি অন্য শারীরিক রোগেরও চিকিৎসা করাতে হয়। পুরুষ কেন পুরুষত্বহীন- এটা নির্ণয় সম্ভব হলে চিকিৎসা খুব একটি ব্যয়বহুল হয় না।

ভ্রান্ত ধারণা- পুরুষের জন্য এটি একটি লজ্জাজনক সমস্যা।
সত্য ধারণা- যে কোনো অসুখে যে কেউ আক্রান্ত হতে পারে এতে লজ্জা পাওয়ার কিছু নেই। বরং সমস্যার ব্যাপারটি গোপন না করে ডাক্তারের কাছে খোলাখুলি জানানো উচিত। মনে রাখা উচিত রোগের ব্যাপার যত গোপন রাখা হবে সমস্যা তত বেড়ে যেতে পারে।

পুরুষত্বহীনতা হলো পুরুষের জীবনের একটি জটিল যৌন সমস্যা। একে জটিল বলার কারণ এটি পুরুষকে যৌনমিলন থেকে বিচ্যুত করে ফেলে। যখন কোনো পুরুষের লিঙ্গ সময়মতো অর্থাৎ যৌনমিলনের সময় উত্তেজিত হয়ে না ওঠে তখন তাকে ইরেক্টাইল ডিসফাংশন বলে। এর ফলে লিঙ্গ সঠিক মাত্রায় যৌনমিলনের জন্য উপযুক্ত হয়ে ওঠে না। আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার দ্বারা ইদানীং পুরুষত্বহীনতা সমস্যার সমাধান শুরু হয়েছে। শতকরা ৯০ ভাগ ক্ষেত্রে পুরুষত্বহীনতার কারণ মানসিক এবং ১০ ভাগ ক্ষেত্রে পুরুষের পুরুষত্বহীনতার জন্য শারীরিক নানা কারণ দায়ী থাকে। পুরুষত্বহীনতা প্রাথমিক স্তরের এবং চূড়ান্ত মাত্রার হতে পারে। প্রাথমিক স্তরের পুরুষত্বহীনতার জন্য লিঙ্গ খুব বেশি মাত্রায় উত্তেজিত হয় না এবং উত্তেজনার কিছুক্ষণ পরেই লিঙ্গ শিথিল হয়ে যায়। আর চূড়ান্ত মাত্রার পুরুষত্বহীনতা হলো লিঙ্গের একেবারে অসাড় অবস্থা। কোন পুরুষের প্রাথমিক পুরুষত্বহীনতা হবে তা আগে থেকে বলা যায় না। আবার কেউ অন্যকে শেখাতে পারে না লিঙ্গ উত্থানের বিষয়টি। লিঙ্গের উত্থান একটি প্রাকৃতিক অবস্থা। রেসপেরিটরি, সারকুলেটরি এবং স্নায়বিক কারণে লিঙ্গ উত্থিত হয়। কিন্তু আসল কারণটি হলো প্রাকৃতিক। তবে অনেক ক্ষেত্রে যৌন মনোদৈহিক সামাজিক কারণেও অনেকের পুরুষত্বহীনতা হতে পারে। যে কারণগুলো পুরুষত্বহীনতার জন্য স্বাভাবিকভাবে দায়ী সেগুলো হলো-
  • কঠিন ধর্মীয় শাসন
  • মাতৃত্বের কঠিন চাপ
  • সমকামিতা পছন্দ করা
  • নারীকে ঘৃণা করা
  • পতিতার সাথে সঙ্গমে ব্যর্থ হওয়ার পরে মনে পাপবোধের সৃষ্টি

চূড়ান্ত মাত্রার পুরুষত্বহীনতা
অনেক পুরুষের পুরুষত্বহীনতা সাময়িক। দেখা যায় যে, খুব বেশি মাত্রায় উদ্বিগ্ন থাকলে বা কোনো কিছু নিয়ে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত থাকলে যৌনমিলনের সময় পুরুষ তার যৌন উত্তেজনা হারাতে পারে। আবার খুব বেশি মাত্রায় অ্যালকোহল সেবনের ফলেও পুরুষের লিঙ্গের দৃঢ়তা নষ্ট হয়ে যায়। সাইকোজেনিক অথবা অর্গানিক নানা কারণে পুরুষের পুরুষত্বহীনতার সৃষ্টি হতে পারে।

পুরুষত্বহীনতার চিকিৎসা
প্রায়শই পুরুষত্বহীনতার চিকিৎসা কঠিন হয়ে দাঁড়ায় এবং রোগের কারণ ধরতে না পারলে চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রলম্বিত হতে পারে। 

প্রশ্ন-উত্তর 

প্রশ্নঃ পুরুষত্বহীনতার নতুন চিকিৎসা কি? 
উত্তরঃ গত ১০ বছর ধরে যে গবেষণা চলছে তাতে করে দেখা যায় যে, অধিকাংশ পুরুষত্বহীনতার সমস্যার জন্য আবেগজনিত কারণ এবং মনোদৈহিক কারণ দায়ী নয়। বরং ৭৫ ভাগ ক্ষেত্রে লিঙ্গের অসাড়তাই এ জন্য দায়ী। পুরুষত্বহীনতার নতুন চিকিৎসা হলো লিঙ্গের রক্তনালীর সার্জারি। এটি সময়সাপেক্ষ এবং ব্যয়সাপেক্ষ একটি চিকিৎসা। 

প্রশ্নঃ এটি কিভাবে নিশ্চিত হওয়া যায় পুরুষত্বহীনতার কারণ শারীরিক এবং মানসিক? 
উত্তরঃ নতুন গবেষণা মতে একজন পুরুষ যদি হস্তমৈথুনের সময় তার লিঙ্গকে উত্তেজিত করতে পারে তবে বোঝা যাবে সে পুরুষত্বহীন নয়। তবে দেখা যায় যে, যৌনসঙ্গিনীর সাথে যৌনমিলনের সময় পুরুষ লিঙ্গে উত্তেজনা বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারে না। এক্ষেত্রে সমস্যা হলো মানসিক চাপ এবং শারীরিক হরমোনের প্রভাব যে কারণে পুরুষত্বহীনতার জন্য মানসিক এবং শারীরিক উভয় কারণকে দায়ী করা যায়। 

প্রশ্নঃ পুরুষত্বহীনতার জন্য প্রধান শারীরিক কারণটি কি? 
উত্তরঃ দুটি সমস্যা যৌথভাবে পুরুষের পুরুষত্বহীনতার সমস্যা সৃষ্টি করে। এই সমস্যা দুটি হলো ভাসকুলার সমস্যা এবং স্নায়বিক সমস্যা। এর সাথে হরমোনের সমস্যা যুক্ত হয়ে ব্যাপারটিকে আরো তীব্র করে তোলে। শরীরের অন্যান্য অঙ্গের মতো পুরুষের লিঙ্গেও রক্তনালী রয়েছে। এগুলোকে লিঙ্গের আর্টারি বলে। এই রক্তনালীগুলো যৌন উত্তেজনার সময় লিঙ্গে প্রচুর পরিমাণে রক্ত সরবরাহ করে। যাতে করে লিঙ্গ দৃঢ় হয়। কিন্তু ভাসকুলার কারণে এই রক্তের চাপ যদি তীব্র না হয় তবে লিঙ্গ সঠিকভাবে দৃঢ় হয় না। যাতে করে পুরুষত্বহীনতার সৃষ্টি হয়। 

প্রশ্নঃ পুরুষের এক্ষেত্রে কী করার থাকে? 
উত্তরঃ শারীরিক পুরুষত্বহীনতার জন্য বিভিন্ন প্রকার চিকিৎসার মধ্যে লিঙ্গের ইমপ্ল্যান্ট, লিঙ্গের ইনজেকশন, ভ্যাকুয়াম ডিভাইস, হরমোন থেরাপি এবং সার্জারির সাহায্য নেয়া যেতে পারে। 

প্রশ্নঃ লিঙ্গের ইমপ্ল্যান্ট করা হলে কি পুরুষ যৌনতায় অংশ নিতে পারে? 
উত্তরঃ শতকরা ৯০ ভাগ ক্ষেত্রে পুরুষের লিঙ্গ ইমপ্ল্যান্টজনিত কারণে যৌনতায় অংশ নিতে কোনো অসুবিধা হয় না। তবে ইদানীং এ হার আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমেরিকাতে প্রতি বছর শতকরা ১০ জন পুরুষের লিঙ্গ ইমপ্ল্যান্ট করা হচ্ছে। 

প্রশ্নঃ লিঙ্গের উত্থান কী পর্যায়ে হলে তা স্বাভাবিক? 
উত্তরঃ পুরুষের লিঙ্গ অনুত্তেজিত অবস্থায় ছোট এবং নরম থাকে। যৌনমিলনের আগে যৌন ক্রীড়ার সময় এটি উত্তেজিত এবং শক্ত হতে থাকে। লিঙ্গ যখন দৃঢ় হয় তখন এর পেশিতে এবং রক্তনালীতে রক্ত জমা হয়। চূড়ান্তভাবে লিঙ্গ উত্তেজিত হলে পুরুষ যৌনমিলনের জন্য উদগ্রীব হয়ে ওঠে। এই সময় পুরুষের লিঙ্গের দৈর্ঘ্য বাড়ে এবং লিঙ্গ অপেক্ষাকৃত বেশি শক্ত হয়। এটি হচ্ছে লিঙ্গ উত্থানের স্বাভাবিক পর্যায়। 

প্রশ্নঃ ডিভাইস ব্যবহার কতটুকু অস্বস্তিকর? 
উত্তরঃ পুরুষের পুরুষত্বহীনতার চিকিৎসায় অনেক ক্ষেত্রে ডাক্তাররা ডিভাইস ব্যবহারের পরামর্শ দেন। এটি একটি খালি বায়ুশূন্য ডিভাইস। ডিভাইসের ভেতরে লিঙ্গ ঢুকিয়ে চাপ দিতে হয়। এতে করে লিঙ্গের রক্তনালীগুলোর ওপর চাপ পড়ে। এভাবে ১০ থেকে ২০ মিনিট ডিভাইস ব্যবহার করতে হয়। ডিভাইস ব্যবহার বহু পুরুষের জন্য অস্বস্তিকর। আবার এটি দামের দিক থেকেও তুলনামূলকভাবে বেশি। 

প্রশ্নঃ পুরুষত্বহীনতারোধে লিঙ্গের ইনজেকশনগুলো কী কী? 
উত্তরঃ পুরুষের লিঙ্গের রক্তনালীগুলোকে সচল করতে চিকিৎসা বিজ্ঞান তিন ধরনের ইনজেকশন আবিষকার করতে পেরেছে। এই তিন প্রকার ইনজেকশনগুলো পাপাভেরিন, ফেনট্রালামিন এবং প্রোস্টেগল্যান্ডিন-ই। 

প্রশ্নঃ ইনজেকশনের অসুবিধাগুলো কি? 
উত্তরঃ দুই-তৃতীয়াংশ ক্ষেত্রে ইনজেকশনের বেশ কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। সাধারণভাবে পুরুষদের এ সমস্যায় ডাক্তাররা পূর্ব থেকে অবহিত হন না। যে কারণে ৭০-৮০% রোগী ইনজেকশন গ্রহণজনিত নানাবিধ শারীরিক উপসর্গে ভুগে থাকে। 

প্রশ্নঃ হরমোন থেরাপি কেমন? 
উত্তরঃ পুরুষত্বহীনতা সমস্যায় হরমোন থেরাপি শতকরা ৯৫ ভাগ কাজে আসে। হরমোন থেরাপির টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা বাড়ায়। এতে করে শরীরে প্রোল্যাক্টিন হরমোনের মাত্রা বেড়ে যায়। এটি হলো পুরুষের যৌন হরমোন। এই হরমোনগুলোর প্রভাবে পুরুষের যৌনতা ভারসাম্যপূর্ণ হয়। যদি কোনো কারণে হরমোন থেরাপি চলতে চলতে ব হয়ে যায় তবে শারীরিক সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। সেজন্য ডাক্তারের পরামর্শ মতো হরমোন থেরাপি চালানো উচিত। কোনো কোনো ক্ষেত্রে হরমোন থেরাপির প্রভাবে পুরুষের যৌনকাতরতা বেড়ে যায়। সে ব্যাপারে ডাক্তারকে সতর্ক হতে হবে।


পুরুষত্বহীনতার পরামর্শ কেন্দ্র
পুরুষত্বহীন পুরুষের জন্য এমনটি ভাবা উচিত নয় যে, তাদের জন্য পরামর্শের কোনো ব্যবস্থা নেই। আমরা এখানে পুরুষত্বহীনতার পরামর্শ কেন্দ্রের ঠিকানা উল্লেখ করলাম। আশা করা যায় এটি আপনাদের কাজে লাগবে।


বাংলাদেশ হারবাল কমপ্লেক্স 
পুলিশ লাইন, কুমিল্লা, বাংলাদেশ, 
মোবাইলঃ ০১৭৩৭৯০৬০৩২, ০১৭১৭২৭০২১২

আবেগঘন মুহূর্ত
আবেগঘন মুহূর্ত হলো যৌন উর্বর সময়। এই সময়ে বহু পুরুষের ব্লু বল সিনড্রোম হতে দেখা যায়। আবেগঘন মুহূর্তের যৌন কামনা থাকে সবচেয়ে বেশি। আবেগঘন মুহূর্ত প্রতিটি নর-নারীর একান্ত কাম্য। আবেগঘন মুহূর্তে পুরুষ এবং নারী যৌন ক্রীড়ায় লিপ্ত হয়। এটি পরসপরের যৌনতাকে উর্বর করে। পুরুষ নারীর মৃদু সপর্শ এবং একজন নারী পুরুষের তীব্র সপর্শ পছন্দ করে। বিজ্ঞান বলে যে, আবেগঘন মুহূর্ত পুরুষ এবং নারীর মানসিক উৎকর্ষতা বাড়াতে পারে। এই সময়ে অনেক পুরুষের বীর্যপাত ঘটে যায়। আবার দীর্ঘক্ষণ যৌন উত্তেজনা শরীরে ধরে রাখার জন্য অনেক পুরুষের অন্ডথলিতে ব্যথার সৃষ্টি হয়। যাকে বলে ব্লু বল সিনড্রোম। নারী-পুরুষের একান্ত আবেগঘন মুহূর্তে নারীর যোনি থেকে স্বচ্ছ সাদা তরলের ক্ষরণ হয়। এই তরল ক্ষরণের অর্থ নারীর শরীরে উত্তেজনা সৃষ্টি। সেই মুহূর্তে নারী খুব বেশি মাত্রায় যৌন আনন্দ পেতে চায়। নারীর কাছে যৌনতা তখন খুব আকর্ষণের সৃষ্টি করে।